রাজারহাট (পশ্চিমবঙ্গ): রাজনৈতিক সহিংসতায় পশ্চিমবঙ্গ অব্যাহত রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন 2022 ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) মধ্যে কয়েকটি ভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাট এলাকা সোমবার সন্ধ্যায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল কারণ দুটি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) এলাকার আধিপত্য নিয়ে একে অপরের সাথে লড়াই করেছিল।
রাজারহাট থানা এলাকার মাটিয়া গাছা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যার দিকে মাটিয়া গাছা গ্রামের বাসিন্দা শেখ নুরুদ্দিন নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) কর্মী তাঁর ছেলেকে নিয়ে দলীয় কাজে বাইকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মাটিয়াগাছা বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) অন্য একটি কর্মী বাইক থেকে নেমে তাদের মারধর করে।
অপরদিকে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শফিক শাহ অভিযোগ করেন, সন্ধ্যায় তারা পার্টি অফিসে বসে থাকার সময় ওই এলাকার তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমান ও তার দল এসে তাদের ওপর বাঁশের রড নিয়ে হামলা চালায়।
এরপর আক্রান্ত তৃণমূল সদস্যকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীই অভিযোগ জানাতে রাজারহাট থানায় যায়। তারপর আবার থানার সামনেই আবারও সংঘর্ষ হয় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে। এরপর রাজারহাট থানার আধিকারিকরা যুদ্ধরত দুপক্ষের উপর লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে একটি গোষ্ঠী অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলেছে।
তৃণমূলের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এ বিষয়ে এক পক্ষ বলছে, আমরা তৃণমূল, তারা তৃণমূল নয়।
"তারা সিপিএম, আইএসএফ এবং বিজেপির এজেন্ট।"
অন্যদিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের পতাকা নিয়ে যা খুশি করতে পারেন। কে থামাবে? পুলিশের সামনেই সব ঘটে। পুলিশ সব জানে।”