গতকাল ওয়াজিরাবাদে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে একটি সমাবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তখন দুই বন্দুকধারী হামলা চালায়। দুই ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত এই হামলায় প্রায় এক ডজন আহত হয়েছে, যদিও বেসরকারী প্রতিবেদনে প্রাণহানির দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে আক্রমণকারীদের একজনকে ভিড় এবং খানের দেহরক্ষীরা পিটিয়ে হত্যা করেছিল, অন্যজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। একের পর এক গুলিবিদ্ধ হন ইমরান। পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, একাধিক গুলি তাঁর পায়ে লাগে। এরপর তাকে দ্রুত লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। ইমরানের চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে আছেন ডাঃ ফয়জল সুলতান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য সহকারী।
তবে ইমরান খানের পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। তবে বুলেটে তার পায়ের একটি হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি কিছুটা স্থিতিশীল বলে সূত্রে জানা গেছে। চিকিৎসকরা তার ওপর নজর রাখছেন। মেডিকেল টিমের প্রধান ডাঃ ফয়জল সুলতান বলেন, ইমরান খান বর্তমানে স্থিতিশীল এবং তার রক্তচাপও ঠিক আছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ইমরানের অনুসারীরা। তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য তার অনুসারীরা প্রার্থনা করতে থাকে। একই সঙ্গে ইমরানের অনুসারীরাও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত ইমরানের স্বাস্থ্যের খবরে স্বস্তি ফিরে এসেছে তার অনুসারীদের। লাহোরে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।