সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বুধবার কলকাতায় নিজাম প্যালেস অফিসে স্কুলের চাকরি কেলেঙ্কারির বিষয়ে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
সূত্রের মতে, প্রাক্তন টিএমসি নেতা কুন্তল ঘোষ, যিনি চাকরির জন্য ঘুষ কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত, তদন্ত সংস্থার দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর নাম উল্লেখ করার পরে ভদ্রের নাম উঠেছিল। রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা ও অ-শিক্ষক পদে অবৈধ নিয়োগে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার ঘোষের সাথে অন্য টিএমসি যুব নেতা শান্তনু ব্যানার্জিকে শাসক দল বহিষ্কার করেছিল।
তার দুই আইনজীবীকে নিয়ে বুধবার সকাল ১১টার একটু আগে ভদ্র সিবিআই অফিসারের কাছে পৌঁছান।
ভাদ্রকে শাসক টিএমসির ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হচ্ছে। বহিষ্কৃত দুই নেতাকে তিনি চেনেন কিনা জানতে চাইলে ভদ্র বলেন, "আমি আমার রাজনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের চিনতাম।"
“আমি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সিবিআই নোটিশ (জিজ্ঞাসাবাদের জন্য) পেয়েছি। আমার স্ত্রী বাড়িতে অসুস্থ তবুও আমি এসেছি। তার পরেও আপনি যদি বলেন আমি সহযোগিতা করছি না, আমি আর কী বলব,” তিনি যোগ করেন। সিবিআই তাকে আবার ডেকেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমাকে আর ডাকা হয়নি।"
এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রাক্তন টিএমসি যুব নেতা কুন্তল ঘোষ জয়শ্রীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের অভিযোগ, কুন্তল ঘোষ তার স্ত্রীর নামে কয়েকটি সম্পত্তি কিনেছিলেন এবং ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।